অফিস শেষ করে বাসায় ফিরার পর,,দেখি
বউয়ের শরীর টা তেমন ভালো না।
বিছানায় শুয়ে আছে। গায়ে ভীষণ জ্বর।
জিজ্ঞেস করলাম,, কিছু খেয়েছো?
ও মাথা নেড়ে না সূচক উত্তর দিলো।
.
তারপর ফ্রিজ থেকে মাছ আর কিছু তরকারি
বের ঝটপট রান্নার কাজে লেগে গেলাম।
.
ওহ রান্না করতে করতে এই সুযোগে আমাদের
পরিচয় পর্বটা সেরে নেয়া যাক,,
আমি শাহ পরান আল-কুরায়েশি।অনার্স
শেষ করে,, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে
ছোটখাটো একটা পোষ্টে চাকরি করছি,,যার
সাথে কথা বলছিলাম উনি হচ্ছেন আমার
একমাত্র সহধর্মিণী "প্রিতী"।
বিয়ে হয়েছে সবে মাত্র একমাস হলো।
আমাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই
সম্পন্ন হয়।যদিও একমাস সময় টা খুব
বেশিনা।তবুও এই এক মাসেই মেয়েটার
মায়ার ঘোরে আবদ্ধ হয়ে গেছি।মেয়েটির
মায়াময় মুখের দিকে তাকিয়ে আমি
বারবার ওর প্রেমে উন্মাদ হয়ে যাই।ওর
প্রতি আমার ভালোবাসাটা প্রতিনিয়তই
আরো প্রসার হতে শুরু করেছে।
.
-একটু উঠে বসতে পারবে?-আমি
-হুম অবশ্যই-প্রিতী
প্রিতী ওঠে বসে আছে,, আমি রান্না করা
খাবার গুলো নিয়ে ওর সামনে রাখলাম।
-এই তুমি রান্না জানো?!!
-হুম,যখন হোস্টেল থাকতাম,,তখন রান্নাটা
নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে
নিয়েছিলাম,আমরা তিন বন্ধু এক সাথে
রান্না করে খেতাম, আমি,নিলয় ও কামাল।
প্রথম প্রথম আমি রান্না জানতাম না।
কামাল ভাই রান্নায় বেশ পটু ছিলো ধিরে
ধিরে তার কাছ থেকে শিখে নিয়েছি।তাই
আজ আমার বউটার এই অসময়ে একটু পাশে
দাঁড়াতে পেরেছি।
-ওহ তাই!
-হুম
তারপর প্রিতীকে নিজ হাতে খাইয়ে
দিলাম।ওহ খাচ্ছে আর বারবার আমার
দিকে তাকাছে।যেন এক মায়াময় চাহনি।
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে
পারছি না।জানি ওর মায়াময় চোখের
দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে
নিজেকেই হারিয়ে ফেলবো ওর গহীন
অতলে।
.
-ঔষধ খেয়েছো?
-নাহ।আমতাআমতা করে কথাটা
বললো,,,বোকা বোকা একটা হাসি দিয়ে।
ভাবছে হয়তো কথাটা শুনার পর হয়তো আমি
বেশ চটে যেতে পারি।
কিন্তু আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে
বললাম,,,,
-নিজের খেয়াল টাতো ঠিক মতো রাখতে
হবে তাইনা?
প্রিতী এবার মাটির দিকে তাকিয়ে
কথাটার উত্তর খুঁজতে লাগলো।
-দেখি হা করো তো?-আমি
তারপর ওকে ঔষধ খাইয়ে, শুইয়ে দিয়ে রুমের
লাইট অফ করে আমিও ওর পাশে গিয়ে শুয়ে
পড়লাম।
এই গরমে গায়ে একটা কম্বল জড়ানো
অবস্থাতেও বউটা শীতে কাঁপছে।
কোন কূলকিনারা না পেয়ে আমিও কম্বলের
ভিতর গুঁজে গিয়ে প্রিতীকে শক্ত করে বুকে
জড়িয়ে নিলাম।কম্বলের নিচে গুঁজে গিয়ে
খুব গরম লাগছে,,,প্রিতীর শরীরও বেশ গরম।
ফ্যানও ছাড়তে পারবোনা। এমনিতেই বউটা
শীতে কাছুমাছু হয়ে শুয়ে আছে,,তারপর
আবার যদি ফ্যান ছাড়ি তাহলে ঠাণ্ডা
লেগে যেতে পারে।তাই আমিই না হয়
মায়াময়ী এই বউটার আজকের রাতটা একটু
কষ্ট করে কাটাই। তাতে কি! আমার বাম
পাঁজরের হার টার জন্য এতোটুকু গরম সহ্য
করতে পারবোনা?
পারবোনা এইটুকুনি ত্যাগ স্বীকার করতে?
তাহলে আমার স্বামিত্ব বজায় থাকলো
কোথায়?
.
প্রিতী আমার লোমশ বুকে তন্দ্রাচ্ছন্ন
অবস্থায়।আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে
দিচ্ছি।তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রিতীর নয়নে নিদ্রা
রানী হাত বুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঘুমের
রাজ্যে। এতক্ষণে নিশ্চই সে স্বপ্নালোকের
প্রবাহিণীতে ময়ূরপঙ্খী সাম্পানে ভেসে
বেড়াচ্ছে।আমারও চোখের পাতা ভারী
হয়ে আসছে। প্রিতীকে নিয়ে হাজারো
জল্পনাকল্পনা করতে করতে আমিও যে কখন
ঘুমের রাজ্যে পদার্পন করেছি বুঝতেই
পারিনি।
.
হঠাৎ খেয়াল করলাম জানালা দিয়ে ঘরের
ভিতর সকালের সূর্যালোকের আলোকরশ্মি
প্রবাহিত হচ্ছে।চারপাশ থেকে ভেসে
আসা পাখিদের মিষ্টি কন্ঠের
কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কোনরকম চোখ খুলতেই আবছা আবছা দেখতে
পাই প্রিতী আমার দিকে একদৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে।
চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করলাম,,
-তোমার জ্বর ভালো হয়েছে?
প্রিতী মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর দিলো,,,
-হুম(মিষ্টি একটা হাসি হেসে)
-তা এভাবে তাকিয়ে আছো যে?
-তাকিয়ে আছি আর ভাবছি আমার আমার
ভাগ্যটা কত ভালো যে তোমার মতো একজন
মানুষকে নিজের স্বামী রুপে পেয়েছি।যে
কিনা আমার সব বিষয়ে খেয়াল
রাখে,আমার কেয়ার করে এবং আমাকে
এত্তো ভালোবেসে দিয়ে আগলে রেখেছো,
যেমনটি বাবা মা রেখেছিলো।
অথচ প্রথম যেদিন তোমার বাবা মা
তোমার জন্য আমাদের বাসায় বিয়ের
প্রপোজাল নিয়ে আসেন,তখন আমি রাজিই
হতে চাইনি।
ভেবেছিলাম যাকে চিনিনা,জানিনা তার
সাথে কি করে
কাটাবো সারাটা জীবন?
আবার মনে মনে সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম
দূরে কোথাও পালিয়ে যাবো।
কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার জন্য হাতটি ধরার
মতো কেউ ছিলোনা বিধায় পালাইনি।
মানে যাকে বলে বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক।
এখন বুঝতে পারছি বাবা মার কথা না শুনে
আমি কত্ত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলাম।হারাত
ে যাচ্ছিলাম তোমায়,,হারাতে যাচ্ছিলাম
তোমার ভালোবাসা।
আচ্ছা তুমি এমন করেই সবসময় আমায়
ভালোবাসবে তো?এভাবেই সবসময়
ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে তো
আমায়?
কখনো আমার প্রতি তোমার
ভালোবাসাটা কমে যাবে নাতো?অনীহা
চলে আসবে নাতো আমার উপর?
তাহলে আমি সেটা একদম সহ্য করতে
পারবোনা।
আমিও অনেক ভালোবেসে ফেলেছি
তোমায়,,,এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি
যে,, তোমায় ছেড়ে দূরে থাকার কথা
ভাবতেই হৃদয়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এমন
চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব হয়।
এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি যে,,,তুমি
যতক্ষণ অফিসের কাজে বাহিরে
থাকো,,,ততক্ষণ আমি বাসায় একা একা
আনমে বসে থেকে তোমার বাসায় ফিরার
প্রত্যেকটা প্রহর গুনি।
সাজুগুজু করে সবসময় নিজেকে তোমার
সামনে আরো সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা
করি যাতে আমায় আরেকটু বেশি
ভালোবাসো।
কথাগুলো বলতে বলতেই পাগলিটার চোখ
থেকে একফোঁটা নোনতা জল গাল বেয়ে
পড়তে লাগলো।
.
আমি প্রিতীকে একবাহুর মধ্যে আবদ্ধ করে
জড়িয়ে ধরে,,আরেক হাত হাত দিয়ে ওর
চোখের পানি মুছতে মুছতে বললাম,,
-এই পাগলীটা স্বামী হিসেবে এটা আমার
কর্তব্য। প্রতেকটা স্বামীর ইই কর্তব্য হচ্ছে
তার স্ত্রীকে ভালোবেসে আগলে রাখা।
আমি যখন সাত কালেমা পড়ে তোমাকে
বিয়ে করেছিলাম,,তখনওই মনে মনে ওয়াদা
করেছিলাম।
তোমার অতীতটা কেমন কেটেছে আমি
সেইসব কিছুই
জানিনা।শুধু জানি,, বিয়ের পর তোমার
চোখ থেকে একফোঁটা জলও ঝরতে দিবোনা।
সবসময় ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো।
বিয়ের আগে যদি তোমার কোন কালো
অতীত থেকেও থাকে তবে সেটা
ভালোবাসার চাদরে ঢেকে দিবো।
আর আমি সর্বদা সেই লক্ষে চেষ্টাও
করেছি,,কিন্তু কতটুকু পেরেছি জানিনা।
তুমি শুধু আমাকে একটু ভালোবেসো,,কথা
দিচ্ছি কখনওই তোমার কাজল কালো ওই
চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হতে দিবোনা।
কি!ভালোবাসবে না আমায়?
.
পাগলীটার চোখ দুটো চকচক করছে।মেঘলা
আকাশ ভেদ করে ফালি রৌদ্রের ন্যায়
একটা হাসি হেসে বললো,,
-পাগল একটা।
-হুম পাগলীটার পাগল।
-ভালোবাসি।
-আমিও
বলেই ঠোট জোড়া পাগলীটার ঠোটের
সাথে মিলিয়ে নিলাম।অন্যরকম একটা
ভালোলাগা কাজ করছে।পাগলীটাও চোখ
দুটো বন্ধ করে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে
ধরেছে।
আর এক সাথে মিশে গেছে দুটি হৃদয়।
পেয়েছে এক ভালোবাসার নীড়।
<প্রকৃত ভালোবাসা তো বিয়ের পরেই।
যেখানে হারাবার কোন ভয় থাকেনা,যদি
বোঝাপড়াটা ভালো হয়।
প্রেম করে হাজারো বাধার সম্মুখীন হতে
হয়।অবশেষে ভেঙ্গেও যায়>
বউয়ের শরীর টা তেমন ভালো না।
বিছানায় শুয়ে আছে। গায়ে ভীষণ জ্বর।
জিজ্ঞেস করলাম,, কিছু খেয়েছো?
ও মাথা নেড়ে না সূচক উত্তর দিলো।
.
তারপর ফ্রিজ থেকে মাছ আর কিছু তরকারি
বের ঝটপট রান্নার কাজে লেগে গেলাম।
.
ওহ রান্না করতে করতে এই সুযোগে আমাদের
পরিচয় পর্বটা সেরে নেয়া যাক,,
আমি শাহ পরান আল-কুরায়েশি।অনার্স
শেষ করে,, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে
ছোটখাটো একটা পোষ্টে চাকরি করছি,,যার
সাথে কথা বলছিলাম উনি হচ্ছেন আমার
একমাত্র সহধর্মিণী "প্রিতী"।
বিয়ে হয়েছে সবে মাত্র একমাস হলো।
আমাদের বিয়েটা পারিবারিক ভাবেই
সম্পন্ন হয়।যদিও একমাস সময় টা খুব
বেশিনা।তবুও এই এক মাসেই মেয়েটার
মায়ার ঘোরে আবদ্ধ হয়ে গেছি।মেয়েটির
মায়াময় মুখের দিকে তাকিয়ে আমি
বারবার ওর প্রেমে উন্মাদ হয়ে যাই।ওর
প্রতি আমার ভালোবাসাটা প্রতিনিয়তই
আরো প্রসার হতে শুরু করেছে।
.
-একটু উঠে বসতে পারবে?-আমি
-হুম অবশ্যই-প্রিতী
প্রিতী ওঠে বসে আছে,, আমি রান্না করা
খাবার গুলো নিয়ে ওর সামনে রাখলাম।
-এই তুমি রান্না জানো?!!
-হুম,যখন হোস্টেল থাকতাম,,তখন রান্নাটা
নিজের মধ্যে আয়ত্ত করে
নিয়েছিলাম,আমরা তিন বন্ধু এক সাথে
রান্না করে খেতাম, আমি,নিলয় ও কামাল।
প্রথম প্রথম আমি রান্না জানতাম না।
কামাল ভাই রান্নায় বেশ পটু ছিলো ধিরে
ধিরে তার কাছ থেকে শিখে নিয়েছি।তাই
আজ আমার বউটার এই অসময়ে একটু পাশে
দাঁড়াতে পেরেছি।
-ওহ তাই!
-হুম
তারপর প্রিতীকে নিজ হাতে খাইয়ে
দিলাম।ওহ খাচ্ছে আর বারবার আমার
দিকে তাকাছে।যেন এক মায়াময় চাহনি।
আমি ওর চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে
পারছি না।জানি ওর মায়াময় চোখের
দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে
নিজেকেই হারিয়ে ফেলবো ওর গহীন
অতলে।
.
-ঔষধ খেয়েছো?
-নাহ।আমতাআমতা করে কথাটা
বললো,,,বোকা বোকা একটা হাসি দিয়ে।
ভাবছে হয়তো কথাটা শুনার পর হয়তো আমি
বেশ চটে যেতে পারি।
কিন্তু আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে
বললাম,,,,
-নিজের খেয়াল টাতো ঠিক মতো রাখতে
হবে তাইনা?
প্রিতী এবার মাটির দিকে তাকিয়ে
কথাটার উত্তর খুঁজতে লাগলো।
-দেখি হা করো তো?-আমি
তারপর ওকে ঔষধ খাইয়ে, শুইয়ে দিয়ে রুমের
লাইট অফ করে আমিও ওর পাশে গিয়ে শুয়ে
পড়লাম।
এই গরমে গায়ে একটা কম্বল জড়ানো
অবস্থাতেও বউটা শীতে কাঁপছে।
কোন কূলকিনারা না পেয়ে আমিও কম্বলের
ভিতর গুঁজে গিয়ে প্রিতীকে শক্ত করে বুকে
জড়িয়ে নিলাম।কম্বলের নিচে গুঁজে গিয়ে
খুব গরম লাগছে,,,প্রিতীর শরীরও বেশ গরম।
ফ্যানও ছাড়তে পারবোনা। এমনিতেই বউটা
শীতে কাছুমাছু হয়ে শুয়ে আছে,,তারপর
আবার যদি ফ্যান ছাড়ি তাহলে ঠাণ্ডা
লেগে যেতে পারে।তাই আমিই না হয়
মায়াময়ী এই বউটার আজকের রাতটা একটু
কষ্ট করে কাটাই। তাতে কি! আমার বাম
পাঁজরের হার টার জন্য এতোটুকু গরম সহ্য
করতে পারবোনা?
পারবোনা এইটুকুনি ত্যাগ স্বীকার করতে?
তাহলে আমার স্বামিত্ব বজায় থাকলো
কোথায়?
.
প্রিতী আমার লোমশ বুকে তন্দ্রাচ্ছন্ন
অবস্থায়।আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে
দিচ্ছি।তন্দ্রাচ্ছন্ন প্রিতীর নয়নে নিদ্রা
রানী হাত বুলিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ঘুমের
রাজ্যে। এতক্ষণে নিশ্চই সে স্বপ্নালোকের
প্রবাহিণীতে ময়ূরপঙ্খী সাম্পানে ভেসে
বেড়াচ্ছে।আমারও চোখের পাতা ভারী
হয়ে আসছে। প্রিতীকে নিয়ে হাজারো
জল্পনাকল্পনা করতে করতে আমিও যে কখন
ঘুমের রাজ্যে পদার্পন করেছি বুঝতেই
পারিনি।
.
হঠাৎ খেয়াল করলাম জানালা দিয়ে ঘরের
ভিতর সকালের সূর্যালোকের আলোকরশ্মি
প্রবাহিত হচ্ছে।চারপাশ থেকে ভেসে
আসা পাখিদের মিষ্টি কন্ঠের
কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায়।
কোনরকম চোখ খুলতেই আবছা আবছা দেখতে
পাই প্রিতী আমার দিকে একদৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে।
চোখ মুছতে মুছতে জিজ্ঞেস করলাম,,
-তোমার জ্বর ভালো হয়েছে?
প্রিতী মাথা ঝাঁকিয়ে উত্তর দিলো,,,
-হুম(মিষ্টি একটা হাসি হেসে)
-তা এভাবে তাকিয়ে আছো যে?
-তাকিয়ে আছি আর ভাবছি আমার আমার
ভাগ্যটা কত ভালো যে তোমার মতো একজন
মানুষকে নিজের স্বামী রুপে পেয়েছি।যে
কিনা আমার সব বিষয়ে খেয়াল
রাখে,আমার কেয়ার করে এবং আমাকে
এত্তো ভালোবেসে দিয়ে আগলে রেখেছো,
যেমনটি বাবা মা রেখেছিলো।
অথচ প্রথম যেদিন তোমার বাবা মা
তোমার জন্য আমাদের বাসায় বিয়ের
প্রপোজাল নিয়ে আসেন,তখন আমি রাজিই
হতে চাইনি।
ভেবেছিলাম যাকে চিনিনা,জানিনা তার
সাথে কি করে
কাটাবো সারাটা জীবন?
আবার মনে মনে সিদ্ধান্তও নিয়েছিলাম
দূরে কোথাও পালিয়ে যাবো।
কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার জন্য হাতটি ধরার
মতো কেউ ছিলোনা বিধায় পালাইনি।
মানে যাকে বলে বয়ফ্রেন্ড বা প্রেমিক।
এখন বুঝতে পারছি বাবা মার কথা না শুনে
আমি কত্ত বড় ভুল করতে যাচ্ছিলাম।হারাত
ে যাচ্ছিলাম তোমায়,,হারাতে যাচ্ছিলাম
তোমার ভালোবাসা।
আচ্ছা তুমি এমন করেই সবসময় আমায়
ভালোবাসবে তো?এভাবেই সবসময়
ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবে তো
আমায়?
কখনো আমার প্রতি তোমার
ভালোবাসাটা কমে যাবে নাতো?অনীহা
চলে আসবে নাতো আমার উপর?
তাহলে আমি সেটা একদম সহ্য করতে
পারবোনা।
আমিও অনেক ভালোবেসে ফেলেছি
তোমায়,,,এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি
যে,, তোমায় ছেড়ে দূরে থাকার কথা
ভাবতেই হৃদয়ে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে এমন
চিনচিনে একটা ব্যথা অনুভব হয়।
এতোটা ভালোবেসে ফেলেছি যে,,,তুমি
যতক্ষণ অফিসের কাজে বাহিরে
থাকো,,,ততক্ষণ আমি বাসায় একা একা
আনমে বসে থেকে তোমার বাসায় ফিরার
প্রত্যেকটা প্রহর গুনি।
সাজুগুজু করে সবসময় নিজেকে তোমার
সামনে আরো সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা
করি যাতে আমায় আরেকটু বেশি
ভালোবাসো।
কথাগুলো বলতে বলতেই পাগলিটার চোখ
থেকে একফোঁটা নোনতা জল গাল বেয়ে
পড়তে লাগলো।
.
আমি প্রিতীকে একবাহুর মধ্যে আবদ্ধ করে
জড়িয়ে ধরে,,আরেক হাত হাত দিয়ে ওর
চোখের পানি মুছতে মুছতে বললাম,,
-এই পাগলীটা স্বামী হিসেবে এটা আমার
কর্তব্য। প্রতেকটা স্বামীর ইই কর্তব্য হচ্ছে
তার স্ত্রীকে ভালোবেসে আগলে রাখা।
আমি যখন সাত কালেমা পড়ে তোমাকে
বিয়ে করেছিলাম,,তখনওই মনে মনে ওয়াদা
করেছিলাম।
তোমার অতীতটা কেমন কেটেছে আমি
সেইসব কিছুই
জানিনা।শুধু জানি,, বিয়ের পর তোমার
চোখ থেকে একফোঁটা জলও ঝরতে দিবোনা।
সবসময় ভালোবাসা দিয়ে আগলে রাখবো।
বিয়ের আগে যদি তোমার কোন কালো
অতীত থেকেও থাকে তবে সেটা
ভালোবাসার চাদরে ঢেকে দিবো।
আর আমি সর্বদা সেই লক্ষে চেষ্টাও
করেছি,,কিন্তু কতটুকু পেরেছি জানিনা।
তুমি শুধু আমাকে একটু ভালোবেসো,,কথা
দিচ্ছি কখনওই তোমার কাজল কালো ওই
চোখ দুটি অশ্রুসিক্ত হতে দিবোনা।
কি!ভালোবাসবে না আমায়?
.
পাগলীটার চোখ দুটো চকচক করছে।মেঘলা
আকাশ ভেদ করে ফালি রৌদ্রের ন্যায়
একটা হাসি হেসে বললো,,
-পাগল একটা।
-হুম পাগলীটার পাগল।
-ভালোবাসি।
-আমিও
বলেই ঠোট জোড়া পাগলীটার ঠোটের
সাথে মিলিয়ে নিলাম।অন্যরকম একটা
ভালোলাগা কাজ করছে।পাগলীটাও চোখ
দুটো বন্ধ করে আমায় শক্ত করে জড়িয়ে
ধরেছে।
আর এক সাথে মিশে গেছে দুটি হৃদয়।
পেয়েছে এক ভালোবাসার নীড়।
<প্রকৃত ভালোবাসা তো বিয়ের পরেই।
যেখানে হারাবার কোন ভয় থাকেনা,যদি
বোঝাপড়াটা ভালো হয়।
প্রেম করে হাজারো বাধার সম্মুখীন হতে
হয়।অবশেষে ভেঙ্গেও যায়>
Comments
Post a Comment